প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মহামারীর সময় জনগণের জীবন বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং কোভিড-১৯ এর ধাক্কা মোকাবেলায় দেশের বিভিন্ন খাতে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রায় ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
মারাত্মক ভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল কারণ পদক্ষেপগুলো কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল।
অর্থনীতি ও জীবন বাঁচাতে করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ সমূহ :
* দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার ।
* অনলাইন, টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা।
* করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা।
* চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধাদের জন্য পিপিই-মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করা।
* টেস্টিং কিট আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপনসহ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
* করোনা মোকাবেলার সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য ৫-১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বীমা এবং এর পাঁচ গুণ জীবন বীমা ঘোষণা।
* ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ। পরবর্তীতে আরও ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়।
* স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের জন্য ৩টি হটলাইন (১৬২৬৩; ৩৩৩ ও ১০৬৫৫) চালু।
* করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন।
* ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া।
* করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১ শ’ ১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা। যা জিডিপি’র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
* ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি ৮ শ’ ১১ কোটি টাকার, গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরির জন্য ২ হাজার ১ শ’ ৩০ কোটি টাকা।
* ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকায় খাদ্য সহায়তা ও অন্য সহায়তা প্রাপ্ত প্রায় ৭৬ লাখ পরিবার বাদ দিয়ে অবশিষ্ট প্রায় ৫০ লাখ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মে/২০২০ মাসে এককালীন ২৫ শ’ টাকা হারে মোট ১২ শ’ ৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
* স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের ২ লাখ ৯ হাজার ৬ শ’ ৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে উপবৃত্তি বাবদ ১ শ’ ২ কোটি ৭৪ লাখ ২ হাজার ৬ শ’ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ।
* ৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে যারা ১০ টাকায় চাল পান। নতুন আরও ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
* কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে কৃষকদের জন্য আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ।
* কৃষি যান্ত্রিকিকরণে অঞ্চলভেদে উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
* ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
* ২৮ জুন পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৪ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৯ শ’ ৪ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা সাত কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫ জন।
* শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ শ’ ২৩ কোটি টাকা।
* করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রমজান উপলক্ষে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, মসজিদগুলোর জন্য ১ শ’ ২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা।
করোন পরিস্থিতিতেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা মাঝে ২৮ হাজার ৩ শ’ ১৭টি মাতৃভাষার বই বিতরণ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস